শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে
দিক আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যোৎসব’২০১৭ এ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তাসের দেশ’
নাট্যকলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল প্রচারিত ও দর্শক নন্দিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক ‘তাসের দেশ’
আগামী০২ নভম্বের
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেটে মঞ্চস্থ হবে ।
"নাটক সাম্যের আন্দোলন,জীবনের ভাষায় মুক্তি অন্বেষণ" শ্লোগানে শাহজালাল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নাট্যকলা বিভাগ আয়োজিত দিক-আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যোৎসব’২০১৭এ আমন্ত্রিত হয়েছে তাসের দেশ ।২রা নভেম্বর থেকে ৮ই নম্ভেম্বর পর্যন্ত সাত দিন “মঞ্চের চিঠি” শিরোনামে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ মঞ্চায়িত হবে।
নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন
নাট্যকলা বিভাগের
সভাপতি
অসীম দাশ
তাসের দেশের কাহিনী:
সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা নিয়েই মানব জীবন। বৈচিত্র্যহীন জীবন বিষাদময় বড়ই যান্ত্রিক, বেদনাবিধূর হতে পারে। রাজপুত্রের জীবন সদাই সুখময় করে রেখেছেন রাজমাতা। এটা রাজপুত্রকে ব্যাথাতুর করে দিয়েছে। তাই সে বন্ধু সদাগর পুত্রের সাথে বেরিয়ে পড়েছে বিচিত্রের সন্ধানে, অজানার উদ্দেশ্যে।
সাগর পাড়ি দিয়ে তারা পৌঁছে যায় তাসের দেশে। সেখানে সব কিছু নিয়ম মত চলে, একেবারে শান্তিপূর্ণভাবে। দ্বন্দ¦-সংঘাত কিছুই নেই। এগিয়ে চলার প্রগতিশীলতা নিষিদ্ধ। রাজপুত্রের চিত্ত চাঞ্চল্য আর চিন্তাধারা সংক্রামিত করে তাসের দেশের নারীপুরুষকে। প্রজাদের সাথে রানীও যোগ দেয় বিদ্রোহে। তাসের দেশের রাজা জনমতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে অচলায়তনকে ভেঙ্গে নতুন সুরে এগিয়ে চলে নতুন ছন্দের পথে।
রবীন্দ্রনাথের রূপক নাটকে যুগে যুগে মানুষের মন, রুচি, আশা, আকাঙ্ক্া ও পরিতৃপ্তির মান বিভিন্নভাবে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। প্রচলিত, ধর্ম, সমাজ, যুগের আদর্শ ও রাজনীতি অনেকাংশে এই নাটককে প্রভাবিত করেছে। তারই মূলসুর বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে তাসের দেশ নাটকে।
No comments:
Post a Comment